সাং অ্যান, যিনি ইরাকে মার্কিন সেনাবাহিনীর সৈনিক ছিলেন, এখন এশিয়ার অন্যতম সেরা শেফদের মধ্যে একজন। যুদ্ধের ময়দান পেরিয়ে বর্তমানে তিনি মিশেলিন খ্যাত একটি রেস্টুরেন্টের মালিক এবং নেটফ্লিক্সের জনপ্রিয় কুকিং রিয়ালিটি শো ‘কালেনারি ক্লাস ওয়ারস’র বিচারক।
দক্ষিণ কোরিয়ায় জন্ম নেয়া সাং, পরিবারের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় অভিবাসী হিসেবে আসেন। সেখানেই কাটে তাঁর স্কুল ও কলেজ জীবন। তিনি বলেন, "আমি সবসময় একটু আলাদা জীবন চেয়েছিলাম। কলেজে পড়ার সময় আমি সিদ্ধান্ত নিই, মার্কিন সেনাবাহিনীতে যোগ দেব। কারণ, আমি ভ্রমণ করতে ভালোবাসি এবং এটি আমাকে দেশের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখার সুযোগ দেবে।"
সাং সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়ার পর বিভিন্ন ঘাঁটিতে প্রশিক্ষণ নেন এবং নাইন ইলেভেনের পর ইরাক যুদ্ধে পাঠানো হয়। ইরাকে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে তিনি জানান, "ছোটবেলা থেকেই বাবা ও চাচাদের কাছ থেকে কোরিয়া ও ভিয়েতনাম যুদ্ধের গল্প শুনেছি। ভাবলাম, এটা প্রকৃত যুদ্ধের অভিজ্ঞতা নেয়ার সুযোগ।"
চার বছর সৈনিক থাকার পর তিনি আবারও পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন। কৈশোর থেকেই তাঁর রেসিং কারের প্রতি আগ্রহ ছিল এবং তিনি পোর্শে গাড়ির মেকানিক হতে চান। তবে মেকানিক্যাল প্রশিক্ষণ শুরু হওয়ার মাত্র দুই সপ্তাহ আগে তিনি একদল শেফের সাথে দেখা করেন এবং তাঁর জীবন পরিবর্তিত হয়।
সাং বলেন, "শেফদের সাথে দেখা হওয়ার পর আমি মেকানিক হওয়ার স্বপ্ন ত্যাগ করি। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের অনেক খ্যাতনামা রাঁধুনীদের সাথে কাজ করার সুযোগ পাই এবং অনেক নামকরা কিচেনে প্রশিক্ষণ নেয়ার সুযোগ ঘটে।"
তিনি যোগ করেন, "আমি কখনোই আমার সিদ্ধান্ত নিয়ে দুঃখ করিনি। হাসতে হাসতে বলেন, স্বপ্ন ছিল পোর্শে গাড়ির মেকানিক হওয়ার, কিন্তু এখন আমি নিজেই তা চালাই।
দেশ-বিদেশের সকল নিউজ পেতে totthokontho সাথে থাকুন